স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জনতারকথা।
রাজবাড়ীর প্রসিদ্ধ নির্মল ও শংকর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে অভিযান চালিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তৈরিসহ কয়েকটি অপরাধে তাদেরকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক মো.মহসিন হাসানের নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য আইনে সংক্ষিপ্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার (সামারি ট্রায়াল) মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, খাদ্য আদালতটি রাজবাড়ী সদর উপজেলার শংকর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, নির্মল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, হিরালাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং নয়াটেস্ট ফাস্টফুড ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় শংকর মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং নির্মল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ধারা- ৩২(গ), ৩৩, ৩৯ অধীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ, পণ্যের চালান সংরক্ষণ না করা এবং নিবন্ধন ব্যতীত পন্য উৎপাদন ইত্যাদি ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠান ২ টিকে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়।
এছাড়া হিরালাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং নয়াটেস্টে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে ব্যত্যয়জনিত ত্রুটিসমূহ সংশোধনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
রাজবাড়ীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক মো.মহসিন হাসান বলেন, আজকে আমরা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের অভিযানে নেমেছিলাম। এসময় রাজবাড়ীর প্রসিদ্ধ দুইটি মিষ্টিন্ন ভান্ডার শংকর ও নির্মলের কারখানা ও দোকানে যায়।সেখানে গিয়ে আমরা অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ সহ বেশ কয়েকটি অপরাধ আমাদের নজরে আসে।
পরে তাদের নিরাপদ খাদ্য আইনের তিনটি ধারায় দুই প্রতিষ্ঠানকে এক লক্ষ করে মোট ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। আমরা এই খাদ্য আদালতের মাধ্যমে ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে চাই।
এসময় উপস্থিত জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান,জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকসূর্য কুমার প্রামাণিক, সদর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মোঃ সেলিম উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালত ও বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের স্টেনোগ্রাফার তোফাজ্জল হোসেন এবং জেলা পুলিশ ও আনসারের ২টি চৌকস দল।