
রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়ায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গুলি করার পর কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ রবিউল ইসলাম রবিকে (৪০) গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার এক পায়ে গুলি করার পর অন্য পা ও হাত কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।
নগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য রবিউল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামী।
নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা রবিউলের ছোট ভাই ২৬ নং ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ।
বোয়ালিয়া থানার খড়বোনা এলাকায় রবিউলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানান বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ।
তিনি বলেন, রবিউল সাহেব বাজার থেকে বিনোদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় খড়বোনা এলাকায় রিকশা থামিয়ে গুলি করার পর তাকে কোপানো হয়।
ঘটনাস্থলে পাঁচ রাউন্ড গুলির খোসা পাওয়ার তথ্য দিয়ে তিনে বলেন, কয়েকজন হামলাকারী মোটরসাইকেলে এসে ঘটনাটি ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, রবিউলের এক পায়ে গুলি করা হয়েছে। অন্য পা এবং দুটি হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রবিউলের নামে পাঁচটি মামলা আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সাবেক সেক্রেটারি নোমানী হত্যা মামলারও আসামি তিনি।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রবিউল। এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জে জনতার হাতে আটক হয়েছিলেন আত্মগোপনে থাকা রবিউলের ভাই শহিদুল ইসলাম। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। শহিদুল কারাগারে থাকলেও রবিউল জামিনে বের হয়ে সেন।