লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হওয়া এক আসামিকে ঘটনার ১১ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, শাহ জালালকে শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্র জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ মে চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নানকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার চার দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২ জুন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এ মামলার রায় আসে ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। তাতে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দণ্ড হয় শাহ জালাল, জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি ও মো. মুক্তারের।
র্যাব কর্মকর্তা মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, শাহজালালকে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।