
বোরহান উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
সারা দেশের ন্যায় চট্টগ্রামের রাউজানেও প্রচন্ড গরমের অস্বস্তি উপজেলা জুড়ে। গরমের তীব্রতায় আজ ৯ মে জুমার নামাজে আগত মুসল্লিদের হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়। বৈদ্যুতিক পাঁখাও গরমকে ঠান্ডা করতে পারছেনা। প্রকৃতিতে বেড়েই চলেছে গরম। টানা কয়েক দিনের প্রখর রোদ আর অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষসহ প্রাণিকুলের। বৈশাখের প্রচণ্ড খরতাপ থেকে স্বস্তি পেতে উপজেলার পশ্চিম ডাবুয়া নীরিয়ার ঠেকে নিচু জায়গা (কুয়া) জমে থাকা পানিতে গা ডুবিয়ে আছে মহিষের পাল। তপ্ত দুপুরে পানিতে থাকা মহিষগুলোকে নাওয়াতে নেমেছেন মালিক নিজেই।
তাপমাত্রা কত ডিগ্রি চলমান তা জানা নাগেলেও তীব্র গরমে মানুষ যে অতিষ্ট তা সহজে অনুমেয় করা যায়। শহরের চাইতে গ্রামে গরম কম বলে লোকমূখে বলা বলি করা হতো। সেটি মানুষ আর বলছেনা। সমান গরম শহর গ্রাম সব স্থানে।
শুক্রবার (৯ মে) গ্রামে এমন গরমে গাছের একটি পাতাও নড়ছেনা। সড়কের পিচ ঢালাই থেকেও তাপ বের হচ্ছে। মানুষের পাশাপাশি পশু পাখি পর্যন্ত গরমে অসহায়।
অসহনীয় গরমে ৯টি মহিষ প্রান রক্ষায় ডুবিয়ে আছে ময়লা পানিতে। গরমের অস্বস্তি রাউজান উপজেলা জুড়ে। জরুরী কাজ ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হবার সাহস করছেনা। গত ৪/৫ দিন ধরে তীব্র গরমে মানুষের কষ্টের শেষ নাই। বৃদ্ধ ও ছোট বাচ্চারা গরম সহ্য করতে পারেনা। এরই মাঝে বিদ্যুতের লোডশেডিং। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কড়া সূর্যের তাপে যেন আগুনের হলকা ঝলসে পড়ে।
দিনে-রাতে তীব্র ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে জনজীবনে। খরতাপে খাল-বিল, পুকুর-দীঘি, জলাশয়সহ পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। বিশেষ করে খড়স্রোত সর্তা ও ডাবুয়া খালে পানি নেই বললে চলে। নলকূপে উঠছে না পানি।বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটে দিশেহারা গ্রামের মানুষ। হঠাৎ তীব্র গরমে মৌসুমী বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি বিহীন ঠা ঠা রোদে জ্বলছে গ্রামের জনপদ।তাপপ্রবাহ বাড়তে থাকলে জনজীবনে নেমে আসবে অসস্তি।