কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় শাহরিয়ার অন্নব রিউশা (১৯) নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থীর আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে মানসিক চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।
রবিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের সিংদাহ গ্রামের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন স্বজনরা। নিহত রিউশা একই গ্রামের সোহেল রানার ছেলে।
রিউশার পরিবারের সদস্যরা জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া এই শিক্ষার্থী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে কোনো পরীক্ষায়ই চান্স না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে রিউশা।
শুক্রবার সে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে। পরদিন শনিবার (১০ মে) রাত সোয়া ৯টার পর থেকে নিখোঁজ ছিল। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে রবিবার সকালে বাড়ির প্রায় ১০০ গজ দূরে একটি জলাশয়ে দগ্ধ ও বিবস্ত্র অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
রিউশার চাচা ইকবাল বিশ্বাস বলেন, “বাগানের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘর ও পুকুরপাড়ে আগুনের ছাই ও পোড়া কাপড় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই সে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।”
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান হোসেন বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এই ঘটনা সেই চিত্রকেই আরও একবার সামনে নিয়ে এলো।