
স্টাফ রিপোর্টার:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিশংকরপুর এলাকায় ভয়াবহ এক পারিবারিক ট্র্যাজেডিতে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে ছুরিকাঘাতে জখম করার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন মামুন (৩০) নামে এক ব্যক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর স্ত্রী মেঘলা (২২) মারা যান। দু’শিশু সন্তান বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত ৯টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। মামুন পেশায় একজন রংমিস্ত্রি এবং তিনি ওই এলাকার নবিউল হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন মামুনের দেড় বছরের মেয়ে জান্নাত ও চার বছরের কুলসুম রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতর পড়ে আছে। তাদের মা মেঘলাও গুরুতর আহত অবস্থায় ছটফট করছিলেন। পরে সবাইকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টার দিকে মেঘলা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, পারিবারিক কলহ থেকেই মামুন এই হামলা চালিয়েছেন। ঘটনার পর তিনি নিজের গলায় ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্তমানে তিনিও চিকিৎসাধীন।
মামুনের মা সুফিয়া বেগম জানান, “আমি বড় নাতনিকে নিয়ে বাইরে ছিলাম। বাড়ি ফিরে এসে দেখি ভয়ংকর দৃশ্য। ছেলের সঙ্গে বউমার আগেও ঝামেলা ছিল। কিছুদিন আগেই তাকে বুঝিয়ে বাড়ি ফেরানো হয়। আজকে আবার মোবাইল ফোন ঘিরে ঝগড়ার পর এই ঘটনা ঘটে।”
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম বলেন, “তিনজনকেই মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে। শিশু দুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে। উন্নত চিকিৎসার মতো অবস্থাতেও নেই।”
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে।”