
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কে বর্তমানে প্রশস্তকরণ কাজ চলমান। এতে যান চলাচল আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় ও দ্রুত হবে বলে আশা করা হলেও, সচেতন মহল আশঙ্কা করছে—ডিভাইডার না থাকলে এই বাড়তি গতি হয়ে উঠবে মৃত্যুফাঁদ। দ্রুতগামী যানবাহন ও প্রতিদিন বাড়তে থাকা দুর্ঘটনার আশঙ্কা রাস্তাটি প্রশস্ত হলেও গুরুত্বপূর্ণ বাজার, ব্রীজ, দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি হয়।
এখনো কোনো ডিভাইডার স্থাপন করা হয়নি। ফলে দুইমুখী যানবাহনের চলাচলে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এই সড়কে বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে কিছু ছিল প্রাণঘাতী। সচেতন নাগরিকদের মতামত, “রাস্তায় গতি বাড়ানো ঠিক আছে, কিন্তু ডিভাইডার না থাকলে এটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। আমরা চাই দ্রুত ডিভাইডার বসানো হোক।”

বিশেষজ্ঞদের মতামত, উন্নয়নের পাশাপাশি নিরাপত্তা জরুরি যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “রাস্তায় ডিভাইডার না থাকলে চালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
প্রশস্ত রাস্তায় গাড়ির গতি স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়, আর সে গতি সামলাতে না পারলেই ঘটে বিপর্যয়। তিনি আরও বলেন, “সড়ক নির্মাণ মানে কেবল পিচ ঢালাই নয়, এটি একটি সামগ্রিক নকশার বিষয়—যার মধ্যে নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
সরকারি কর্তৃপক্ষ কী বলছে?
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কুষ্টিয়া কার্যালয়ের একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ নিরাপত্তার স্বার্থে জনগনের দাবির বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কুষ্টিয়া কার্যালয়ে লিখিত প্রস্তাবনা থাকলে ডিভাইডার অনুমোদনে জন্য প্রস্তাব পাঠানো সহজ হবে।

তবে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবির প্রেক্ষিতে বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। জনগণের দাবি, উন্নয়ন হোক নিরাপত্তার সাথে স্থানীয় বাসিন্দা, চালক এবং পথচারীরা সবাই চাইছেন, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের উন্নয়নের সাথে যেন নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়। তারা মনে করেন, একটি ডিভাইডার শুধু রাস্তাকে বিভক্ত করে না, এটি জীবন বাঁচায়।
উন্নয়ন আর নিরাপত্তা পাশাপাশি চলুক জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের আধুনিকায়ন অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে উন্নয়নের গতি যেন প্রাণঘাতী না হয়ে ওঠে, সেই দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই।