আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দীর্ঘ ১৯ মাস ধরে ইসরায়েলের লাগাতার হামলা ও অবরোধে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। প্রতিদিন লাশের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, এবং খাদ্য, চিকিৎসা, নিরাপত্তা—সবকিছুর অভাবে একটি জাতি যেন মৃত্যুর সঙ্গে পিছু হটছে। এমন প্রেক্ষাপটে এবার সরব হলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি সরাসরি বলেছেন, “গাজায় এখন যা ঘটছে, তা আর সহ্য করা যাচ্ছে না।” গাজার জনগণের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ‘পুনর্গঠন চুক্তি’ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্টারমার গাজার পরিস্থিতি নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় যেভাবে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তা কোনোভাবেই সহনীয় নয়। বোমাবর্ষণে প্রতিনিয়ত নিহত হচ্ছে নারী ও শিশু। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৩ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনির। ইসরায়েল কেবল হামলাই চালাচ্ছে না, বরং ত্রাণ ও খাদ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও অব্যাহত রেখেছে, যা গাজার জনগণকে দুর্ভিক্ষের কিনারায় ঠেলে দিচ্ছে। স্টারমার জোর দিয়ে বলেন, “আমরা গাজার মানুষদের অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান কঠোর এবং পূর্বের মতোই রয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি গাজায় মানবিক সহায়তা বহুগুণ বাড়ানোর দাবি জানান। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যে সীমিত ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাকে ‘পুরোপুরি অপর্যাপ্ত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন স্টারমার। এই বিবৃতি এমন এক সময় এলো যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যুদ্ধবিরতির আবেদন উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজায় সহিংসতা জারি রেখেছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বারবার গাজায় মানবিক বিপর্যয়, দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার ধসে পড়া নিয়ে সতর্ক করেছে, কিন্তু বাস্তব পরিবর্তন এখনও অনুপস্থিত।
তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি