
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় আবারও ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন বিআরবি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শ্রমিকেরা। একই দাবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন কিয়াম মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের একাংশের শ্রমিকও। আজ সোমবার সন্ধ্যা থেকে শহরতলির বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে এতে বিভিন্ন শিফটের কয়েক হাজার শ্রমিক অংশ নেন।
শ্রমিকদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বেতন-ভাতা বিআরবি গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করা, ওভারটাইম বিল প্রদান, সাপ্তাহিক ছুটির নিশ্চয়তা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে স্থায়ী নিয়োগ প্রদান।
কর্মসূচি চলাকালে উত্তেজিত শ্রমিকদের লাঠি হাতে ফটকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলন স্থগিত করতে শ্রমিকদের রাজি করায়। তবে কিয়াম মেটালের শ্রমিকেরা তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত রাখেন এবং দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজের শ্রমিক আব্দুল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যা থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করছিলাম। আমাদের সঙ্গে কিয়াম মেটালের শ্রমিকেরাও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে যুক্ত হন। পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে জুন ক্লোজিংয়ের পর দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি।
এর আগে গত ৮ মে একই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। সেদিন মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর সন্ধ্যায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তাঁরা। তবে কর্মবিরতির একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী মকিবুল ইসলামকে মারধরের ঘটনাও ঘটে।
এমআরএস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, কাঁচামালের অভাবে মাসের বেশির ভাগ সময় প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিকদের বেতন বাড়লেও এমআরএসের শ্রমিকদের বাড়েনি, তাই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।