নাটোর প্রতিনিধি।
নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোর পাঁচটার দিকে সদর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সদরের বাকশোর ঘাট এলাকায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাস খাদে পড়ে আখতারুজ্জামান (৩৮) নামে এক যাত্রী নিহত হন। তিনি নীলফামারী শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার জনৈক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের বিভিন্ন পাঠানো হয়েছে।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, ভোরে নাটোর থেকে একটি বিআরটিসি বাস রংপুরের দিকে যাচ্ছিলো। সদরের নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের বাকশোর ঘাট এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান যাত্রীবাহী বিআরটিসি বাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন অন্তত ১৫ জন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধারকারী দল আহতদের উদ্ধার করে নাটোর বগুড়া রাজশাহীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।
তিনি আরও বলেন, ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সেইসঙ্গে সড়ক আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে জেলার বড়াইগ্রামের গুনাইহাটি এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কে চালবাহী ট্রাকের সঙ্গে নিত্যপণ্য সরবরাহকারী মিনি কাভার্ড ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে জুয়েল মন্ডল (২৪) নামে একজন নিহত হন। তিনি ওই কাভার্ড ভ্যানের চালক ও বগুড়ার আদমদিঘীর শিবপুর গ্রামের আজাহার আলী মণ্ডলের ছেলে।
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, কুষ্টিয়া থেকে নাটোরগামী নিত্য পণ্যবাহী একটি কোম্পানির মিনি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা চালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ট্রাকের চালক ও সহযোগী পলাতক। দুটি যানই উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।