
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এবার নিজ দেশেই নড়বড়ে হয়ে গেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চেয়ার। ভেঙে যেতে পারে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সরকার। ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে এ নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা। বিরোধী দল বলছে, ‘নেতানিয়াহুর সরকার বিষাক্ত ও ক্ষতিকার।’
গাজায় হামলা নিয়ে সারাবিশ্বে সমালোচিত হয়েছেন নেতানিয়াহু। তার বিরুদ্ধে আছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিও তিনি সেনাবাহিনীর পরিসর বাড়াতে চান। আর ওই সিদ্ধান্ত ঘিরেই ক্ষিপ্ত হয়েছে দেশটির বিরোধীদল এমনকি নেতানিয়াহুকে সমর্থন জানানো দলগুলোও। ইসরায়েল টাইমস, এএফপি ও বাসস এ তথ্য দিয়েছে।
নেতানিয়াহুর জোটে থাকা দলই তার সরকার পতনের পথ ত্বরান্বিত করছে। নেতানিয়াহুর জোটের কিছু ইহুদি ধর্মপন্থি দল অতি-গোঁড়া ইহুদি সেমিনারি শিক্ষার্থীদের সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক কাজ করার ব্যাপারে ছাড় চাইছে। অপরদিকে নেসেটের কিছু আইনপ্রণেতা ছাড়ের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বিলোপ চাইছে।
অতি-গোঁড়া ইহুদি শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব পালন করা বা না করার বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। তবে সম্প্রতি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর বড় করছে সেনাবাহিনী। এতে ডাক পড়েছে অতি-গোঁড়া ইহুদি শিক্ষার্থীদেরও। বিষয়টি ইসরায়েলে অনেক বেশি আলোচিত হচ্ছে।
এই অতি-গোঁড়া ইহুদিদের সামরিক বাহিনীতে কাজ করা সংক্রান্ত আইন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যা নেতানিয়াহু সমাধানের চেষ্টা করছেন।
কিন্তু সমাধান না হওয়ায় এখন দেশটিতে ধর্মভিত্তিক দলগুলো তার সরকার পতনের পথে হাঁটছে। ধর্মীয় গোঁড়া দলগুলো বলেছে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পক্ষে ভোট দেবে তারা। এমনটি হলে ইসরায়েলে অনুষ্ঠিত হবে আগাম নির্বাচন।
লেবার পার্টি ও বিরোধী দলীয় সাংসদ মিরাভ মিখাইলি বলেছেন, ‘অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন নেতানিয়াহুর সরকার বিশেষ করে বিষাক্ত ও ক্ষতিকারক। এ সরকারকে স্থলাভিষিক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা এবং সব জিম্মিকে ফেরত আনা জরুরি হয়ে পড়েছে। ইসরাইলকে আবারও পুনর্গঠন করা জরুরি হয়ে পড়েছে।’
এদিকে নেতানিয়াহু সরকার বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি জোটের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন।