
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক মিত্র দেশ। শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ইরান থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে এসব দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
ইরান থেকে ছোড়া শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। রাজধানী তেলআবিবে কমপক্ষে সাতটি স্থানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
বার্তা সংস্থা সিএনএন জানায়, ইসরায়েলি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে তারা নিশ্চিত হয়েছে—ইরানের হামলার সময় ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেয়। একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের আরও কয়েকটি দেশও ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, “এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে একইভাবে ইরানের বড় পরিসরের হামলা প্রতিহত করতে একযোগে কাজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আঞ্চলিক কয়েকটি আরব দেশ।”
২০২৪ সালের ওই হামলায় ইরান একসঙ্গে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুড়েছিল। সে সময় ইসরায়েল দাবি করে, তাদের ‘আয়রন ডোম’ ও পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তায় ৯৯ শতাংশ আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছিল।
তবে এবারের হামলায় ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া আরও গতিশীল ও পরিকল্পিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে—তারা ইসরায়েলের পাশে রয়েছে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
এই ঘটনাকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যে দিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।