নরসিংদী প্রতিনিধি ।
নরসিংদীর পলাশে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের নেতাকর্মী এবং ২ পুলিশসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলার বিএডিসি বাসস্ট্যন্ড মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, একাংশের নেতা ফজলুল কবির জুয়েল, অপর পক্ষের ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন ও সোহেল। এছাড়া এঘটনায় পলাশ থানার ওসিসহ দুই/তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পলাশ থানার ওসি মনির হোসেন।
ফজলুল কবির জুয়েল এঁর সমর্থক ও আরাফান রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদের জেলা কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমরান খান রনি বলেন, ঘটনার দিন বিকালে পলাশ বাজার এলাকা থেকে শোডাউন বের করা হয়। শোডাউনটি ওয়াপদা কবরস্থানের দিকে আসলে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ তাদের ইটপাটকেল ছুরতে থাকে। এসময় মাগরিবের নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে প্রবেশ করেন জুয়েল।
মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্রই জুয়েলের উপর গুলি ও চাপাতি দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে রাখে।তাকে যেনো হাসপাতালে না নেয়া হয় তার জন্য চারদিক দিয়ে ঘিরে রাখে নেতারা।খবর পেয়ে পলাশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলকে উদ্ধারের চেষ্টা রে ব্যর্থ হয়। সবশেষে নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে জুয়েলকে উদ্ধার করে। প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করেন।
অপর দিকে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের পক্ষে ঘোড়াশাল পৌলসভা বিএনপির সভাপতি মো: আলম মোল্লা জানান, ফজলুল কবির জুয়েল তার ফেইজবুকে স্ট্যটাস দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার লক্ষে শোডাউনের নামে পলাশের ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপড় হামলা ও গুলি করে।এতে ছাত্রদলের ইসমাইল ও সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়। এই অবস্থায় ছাত্রজনতা জুয়েলকে গলধোলাই দেয়।এদিকে আহত ইসমাইল ও সোহেলকে ঢাকায় ভর্তি করা হয়। আমরা জুয়েলের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি। এছাড়া এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশেরও ডাক দেয়া হয়েছে।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনির হোসেন বলেন, কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল নরসিংদী-২ (পলাশ) নির্বাচনী এলাকায় শোডাউন করতে আসেন।এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি।এছাড়া সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আমি সহ ২/৩জন পুলিশ সুদস্যও আহত হয়েছেন।পরে নরসিংদী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।এছাড়া পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।