
চাঁদপুর প্রতিনিধি।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাদক কারবারির ছুরিকাঘাতে মো. মোস্তফা (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মৃত যুবক উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী গ্রামের মৃত দিদার হোসেনের ছেলে। তিনি ১ সন্তানের জনক ও পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন।
বুধবার (১৮ জুন) রাত ২ টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে স্থানীয় মাদক কারবারি সোহেল গংরা মো. মোস্তফাকে বসতঘর থেকে ডেকে নিয়ে চুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে মৃতের পরিবার নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনায় গত ১৬ জুন ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন মৃত মোস্তফার ভাই আলাউদ্দিন।
থানায় অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার শিকার মো. মোস্তফা ও মাদক কারবারি সোহেল গংরা পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। সোহেলের ভাই ফয়সাল (২৬) কে তাদের বাড়ির পাশের ভ্যারাইটিজ ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর দোকানের পণ্য (পেট্রোল) পাম্প থেকে ক্রয় করে আনার জন্য ৪ হাজার ৬ শত টাকা দিয়েছেন।
সেই টাকা ফয়সাল হোসেন আত্মসাত করে, দোকান্দার জাহাঙ্গীর মো. মোস্তফা গংদের স্বজন হওয়ায় স্বজনের দাবীর প্রেক্ষিতে ফয়সাল হোসেনের কাছ থেকে ওই টাকা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালায়। সেই থেকে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। চলমান বিরোধের জের ধরে ঘটনার রাতে মো. মোস্তফাকে বসতঘর থেকে ডেকে নিয়ে মারধর ও পিঠের বা পাশে চুরিকাঘাত করে সোহেল গংরা।
ভুক্তভোগীর ভাই মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার ভাইকে রাত সাড়ে ১০টার সময় মাদক কারবারি সোহেল গংরা বসতঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মারধর ও পিঠে চুরিকাঘাত করলে কিডনীতে লেগে যায়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বুুধবার দিবাগত রাত ২ টার সময় মারা যায়। আমরা ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান, সোহেল গংরা এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি। একাধিকবার তারা মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, মোস্তফা তাদের মাদক কারবারে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম বলেন, ‘নিহতের ভাই আলাউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে। ভিকটিম মারা যাওয়ায় মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে।’