স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।
আন্তর্জাতিক অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) দিবস আজ। টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের চালিকাশক্তি হিসেবে এমএসএমইর ভূমিকা সম্প্রসারণ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে এমএসএমই দিবস পালিত হচ্ছে।
অর্থনীতিতে ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এবং সচেতনতা তৈরিতে বিশ্বজুড়ে ২৭ জুন পালন করা হয় এ দিবস। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ ২৭ জুনকে এমএসএমই দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস পালন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে মূল আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। এ ছাড়া বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ দিবস পালন করে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এবার এমএসএমই দিবস দুটি বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন সামনে রেখে উদযাপিত হচ্ছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্পেনের সেভিলায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন’ শীর্ষক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এ ছাড়া কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে সামাজিক উন্নয়ন-বিষয়ক দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলন। সম্মেলন দুটিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়নে এমএসএমইর অগ্রণী ভূমিকা তুলে ধরা এবং এ ধরনের উদ্যোগের জন্য অর্থায়ন, নীতি সহায়তা এবং সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি বিষয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ব্যবসার ৯০ শতাংশ, কর্মসংস্থানের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এবং জিডিপিতে ৫০ শতাংশ অবদান এমএসএমই খাতের। বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষম দরিদ্র, নারী, যুবক ও পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নের মেরুদণ্ড হিসেবে ভূমিকা রাখছে এমএসএমই খাত।
এবারের দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ আরও বলেছে, অনেক সম্ভাবনাময় এমএসএমই খাতের ব্যবসা ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তাদের ঋণ পেতে অনেক বেগ পেতে হয়। দুর্বল অবকাঠামো আরেকটি বড় সমস্যা। এ ছাড়া কর্মপরিবেশও অনেক ক্ষেত্রে উন্নত নয়। অনেক প্রতিষ্ঠান অনানুষ্ঠানিকভাবে পরিচালিত হয়, যা তাদের অর্থায়ন, আইনি অধিকার ও সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা। বর্তমানের বৈশ্বিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ যেমন রাজনৈতিক উত্তেজনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল রূপান্তর তাদের টিকে থাকার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।