রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসানকে অফিস কক্ষে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পাংশা উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ আলী খানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় তাদের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় থেকে আটক করে সদর থানায় নেওয়া হয়।
শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করে। বিকেলে আদালত চাঁদ আলী খানকে জামিনে মুক্তি দেন। এ ঘটনার পর জেলা বিএনপি নেতা চাঁদ আলী খানকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ও সদস্যসচিব কামরুল আলম স্বাক্ষরিত অব্যাহতির চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনি দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। এ জন্য আপনাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো এবং সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হলো। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’
এ ঘটনায় চাঁদ আলী খান ছাড়াও গ্রেপ্তার অন্য পাঁচজন হলেন পাংশা উপজেলা বিএনপির সদস্য সরিষা ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের বদরউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মো. বাচ্চু বিশ্বাস, পাংশা পৌর সভার নারায়ণপুর এলাকার রিয়াজুদ্দিন আহম্মদের ছেলে মো. রুহুল আমিন, শহরের ভবানীপুর এলাকার রওশন আলী শিকদারের ছেলে মামুন শিকদার, মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. ফরিদ হোসেন ও রেজাউল করিম পিন্টুর ছেলে মো. শিশির করিম।
সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগে মামলা করেন। তবে সাংবাদিকরা একাধিকবার কল দেওয়ার পরও ভুক্তভোগী কর্মকর্তা কাজী রকিবুল হাসান ফোন রিসিভ করেননি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে চাঁদ আলী খান একজন সিনিয়র নেতা। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকারও হতে পারেন। এ জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’