
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
সব মামলায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয় না। মামলায় আসামি অনেকজন, কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পান শুধু তাদেরই গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৩০ জুন) ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের রিমান্ড শুনানিতে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এ কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ১৪ বছর বয়সি কিশোর আবদুল মোতালেব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক মুনিরুল ইসলাম মুরাদকে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের শুনানিতে মুরাদের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন বলেন, মামলার এজাহারে মুরাদ ৭৬ নম্বর আসামি। মামলায় বলা হয়েছে, ১-৪৫ নম্বর আসামিদের নির্দেশে পুলিশ ও র্যাব গুলি ছুড়লে ভিকটিম মোতালেব মারা যান। এ ঘটনায় মুরাদের নাম থাকলেও তার সম্পৃক্ততার কথা স্পষ্টভাবে কোথাও বলা নেই। তিনি অসুস্থ্য মানুষ। রিমান্ড আবেদন বাতিল করে প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে।
রিমান্ডের পক্ষে শুনানিতে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, মামলায় বলা হয়েছে, ১-৪৫ নম্বর আসামিদের নির্দেশে পুলিশ-র্যাব ও অন্যান্য আসামিদের ছোড়া গুলিতে ভিকটিম মোতালেব মারা যান। এটি সনাক্ত করার জন্যই তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। সব মামলায় সবাইকে গ্রেফতার করা হয় না। মামলায় আসামি অনেকজন, কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনার সাথে যাদের সংশ্লিষ্টতা পান শুধু তাদেরই গ্রেফতার করা হয়।
দুই পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত মুরাদের ২৪ ঘণ্টা রিমান্ড মঞ্জুর করেন।