
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযান জোরদার হওয়ায় বাংলাদেশিদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। গত এক মাসে দেশটিতে ৭৫ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট থেকে আটক করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড না থাকলে অবৈধ অভিবাসী হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনি অঙ্গীকার ছিল কেবলমাত্র গুরুতর অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদেরই গ্রেফতার ও বহিষ্কার করা হবে।
খ্যাতনামা অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, প্রতিদিনই অন্যান্যদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের গ্রেফতারের তথ্য শুনতে পাচ্ছি। গ্রেফতারদের স্বজনরা ফোন করে আইনগত সহায়তা চাচ্ছেন। এ অবস্থায় গোটা কমিউনিটি সন্ত্রস্ত এবং তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
অ্যাটর্নি মঈন আর বলেন, অনেক আগেই যাদের বহিষ্কারের আদেশ জারি হয়েছে তারাই টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। বাফেলোর একজন নির্মাণ শ্রমিককে কর্মস্থল থেকে গ্রেফতারের সংবাদ পেয়েছি। তিনি বেশ কয়েক বছর আগে কানাডা সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছিলেন। কলরাডো ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে আরেকজনকে। ফ্লোরিডা, জর্জিয়াসহ নিউইয়র্কে ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখে ইমিগ্রেশন কোর্ট অথবা অফিসে হাজিরা দিতে গিয়ে অনেক প্রবাসী আটক হচ্ছেন, বলেও জানান তিনি।
‘এটা অকল্পনীয় ঘটনা। যা সামগ্রিক পরিস্থিতিকে অচেনা করে ফেলেছে। কারণ বিদ্যমান আইনেই তারা প্যারোলে মুক্ত থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপে আইনের শাসন চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে’।
আইস-এর (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৭০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত এবং আরও ৪৮ হাজারের মতো বহিষ্কারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতারে অভিযানের দৈনিক টার্গেট দিয়েছেন ৩ হাজার। আর এ টার্গেট পূরণেই মরিয়া হয়ে উঠেছে আইসের এজেন্টরা।