
মেহেরপুর করেসপন্ডেন্ট।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খাকে নস্যাৎ করে দেয়া হয়েছিল। ৫৪ বছরেও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যম আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, এই মেহেরপুরের মুজিবনগর থেকেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল। জন আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরাও গণ অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করব।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মেহেরপুর কলেজ মোড়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নতুন বাংলাদেশ ঘুরতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন সম্ভাবনা এবং নতুন সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশ গড়ার। যেভাবে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটানো হয়েছে সেভাবেই বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যে আকাঙ্ক্ষা ছিল এবং ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল সেই জন আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করবে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ। আমরা চাচ্ছি ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা তৈরি হবে।
এর আগে বিকেলে কুষ্টিয়া থেকে সড়কপথে মেহেরপুর জেলায় প্রবেশ করেন এনসিবি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। গাংনী বাস স্ট্যান্ডে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে জুলাই পদযাত্রার কর্মসূচির অংশ হিসেবে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আজ মেহেরপুর জেলায় অবস্থান করছেন।
এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপি ঢাকা দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ঢাকা উত্তারাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মূখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডাঃ তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মূখ্য সয়গঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
রাতে বিভিন্ন গ্রামে জন সাধারণের সাথে জন আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আলাপ করেন এনসিপি নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও ২৪ এর জুলাই গণ অভ্যুত্থান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন তারা। মেহেরপুরে রাত্রিযাপন শেষে বুধবার চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।