প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর ধার্য শুল্ক ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি কোনো একতরফা সিদ্ধান্ত নয়, বরং উভয়পক্ষের সম্মতিতে হতে পারে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।।
চীনের প্রতি ট্রাম্পের কঠোর বাণিজ্য নীতির অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণের পর, এপ্রিলে শুল্কের হার ২৪৫ শতাংশে পৌঁছায়। এই উচ্চ শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে চীনা পণ্যের দাম বেড়ে যায়, যা ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
বর্তমানে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে হলে উভয়পক্ষের শুল্ক কমাতে হবে। তিনি এই উচ্চ শুল্ককে ‘বাণিজ্য অবরোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং একতরফা শুল্ক কমানোর সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।
বেসেন্ট আশা প্রকাশ করেছেন যে ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের মধ্যে শুল্ক নিয়ে স্পষ্টতা আসবে।
এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, “এখনকার মতো অতটা বেশি থাকবে না। এর আশেপাশেও না।”
তিনি আরও বলেন, চুক্তি হলে শুল্ক ‘অনেকটাই’ কমে আসবে। তবে হুঁশিয়ারিও দেন, “যদি ওরা চুক্তি না করে, তাহলে আমরাই ঠিক করব চুক্তি কেমন হবে।”
বাজারে এই ঘোষণার প্রভাব ইতিবাচক হয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ৩.৩ শতাংশ বেড়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। এছাড়া, ট্রাম্পের কিছুটা নমনীয় মন্তব্যের ফলে বাজারে ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে।