
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাজবাড়ী।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহাদী দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার বাড়িতে ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় সরকারি কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রাকিবুল ইসলাম।
তিনি জানান, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা লাঠিসোঁটা নিয়ে নুরুল হকের দরবার শরিফে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িও ভাঙচুরের শিকার হয় এবং সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে।
সরকারি কাজে বাধা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানার এসআই সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩০০০ হাজার থেকে ৩৫০০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে।
২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মারা যান নুরুল হক। ওই রাতে তাঁর মরদেহ বিশেষ কায়দায় কফিনে রেখে ১২ ফুট উঁচুতে দাফন করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আলেম সমাজ কবর সমতল করার দাবি জানায়। পরে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর দরবারে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে আল্টিমেটাম দেয়।
ঘোষিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় শুক্রবার বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা সরাসরি দরবারে গিয়ে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে দরবারের ভক্তরা ইটপাটকেল ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। পরে কয়েকশ লোক দেয়াল টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িও ভাঙচুরের শিকার হয়।