
ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর আতংক ছড়িয়েছে পর্যটন শিল্পে; ভ্রমণ বাতিলের হিড়িক পড়ার খবর দিচ্ছে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো।
ওই আক্রমণ কাশ্মিরে পর্যটনের ভরা মৌসুমে শঙ্কার ছায়া ফেলেছে। বিশেষ করে দাবদাহপ্রবণ হায়দরাবাদের পর্যটকদের দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে, যারা উপত্যকার শীতল হাওয়ার পরশ চাইছিলেন।
ট্যুর অ্যান্ড ট্র্যাভেল এজেন্সি ৬৮এম হলিডেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মুর্তজা বলেন, “শ্রীনগরের পথে রওনা হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে হায়দরাবাদের ছয় সদস্যের একটি পরিবার পেহেলগাম দর্শনসহ প্রিমিয়াম হলিডে প্যাকেজ বাতিল করে। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আমাকে ফোন করে সবকিছু বাতিল করতে বলে। আমাদের তা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।”
হিন্দু লিখেছে, হায়দরাবাদ থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত চারজনের পরিবারের সুযোগ-সুবিধার ওপর বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজে গুনতে হয় ১ থেকে ২ লাখ রুপি।
ট্যুর অপারেটররা বলছেন, পেহেলগামের ঘটনার ব্যাপক প্রভাব দেখা দিতে পারে কাশ্মিরের পর্যটন শিল্পে।
মুর্তজা বলেন, “কোভিডের পর কাশ্মিরই আমাদের সবচেয়ে বেশি বুকিংয়ের গন্তব্য। আমরা জম্মু-কাশ্মিরে বছরে সাধারণত ৭০০ থেকে ৮০০ বুকিং ব্যবস্থাপনা করি এবং মে ও জুন মাসে পর্যটকদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে।”
হিন্দু লিখেছে, পেহেলগামের বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাজ্যটিতে রেকর্ড ভাঙা পর্যটকের আনাগোনা দেখা যাচ্ছিল।
হিন্দু লিখেছে, পেহেলগামের বিপর্যয় এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাজ্যটিতে রেকর্ড ভাঙা পর্যটকের আনাগোনা দেখা যাচ্ছিল।

পর্যটনে প্রভাব পড়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা ইতোমধ্যে হায়দরাবাদে ফুটে উঠেছে। শ্রীনগরে প্রতিদিন দুটি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের; তাদের এবং ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর কাছে বুক করা টিকেট বাতিলে প্রচুর কল আসছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুই এয়ারলাইনসই টিকেট বাতিলের মাশুল মওকুফের ঘোষণা দিয়েছে।
আবার জম্মু ও কাশ্মিরে থাকা অনেক পর্যটক তাদের সফর সংক্ষিপ্ত করে দ্রুত ফিরতে চাইছেন। ফলে ফিরতি পথের টিকেটের চাহিদা বেড়ে গেছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। এয়ারলাইনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের পাশে থাকতে বলা হয়েছে।
পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর শ্রীনগরে আটকে রয়েছেন তেলেঙ্গানার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৮০ জন পর্যটক। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তারা বাড়ি ফিরতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাৎক্ষণিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন।