রাশিয়া-ইউক্রেন ১০০০ করে বন্দি বিনিময়ে রাজি

Spread the love

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে দীর্ঘ তিন বছর পর শুক্রবার (১৬ মে) প্রথমবার সরাসরি আলোচনায় বসেন দু’দেশের প্রতিনিধিরা। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত দুই ঘণ্টার কম সময়ের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দেশ দুইটি। তবে উভয় দেশ এক হাজার করে যু্দ্ধবন্দি বিনিময়ে একমত হয়েছে।

ইস্তাম্বুলের দোলমাবাচে প্রাসাদে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি। অপরদিকে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রুস্তেম উমেরভ।

বৈঠক শেষে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের প্রধানেরা জানান, আলোচনায় হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, এক হাজার জন করে বন্দি বিনিময় করা হবে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়। বৈঠকে যুদ্ধবিরতি এবং দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠকের বিষয়েও আলাপ করেছে দুই পক্ষ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ইউক্রেনের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধ বন্ধের জন্য মস্কো যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি হলো নিজেদের কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে ইউক্রেনকে। রাশিয়ার এই দাবি ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’। আর বৈঠকের পর ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেছেন, ইস্তাম্বুল বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মস্কো সন্তুষ্ট। কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তারা।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতা শুরু করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। শুক্রবারের বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে পরে তা হয়নি। অবশ্য ট্রাম্প বলেছেন, পুতিনের সঙ্গে তার সরাসরি সাক্ষাৎ ছাড়া যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি হবে না। সূত্র-আল জাজিরা


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *