জাতিকে ঈদ উপহার দিতে চান বাংলাদেশ কোচ

Spread the love

স্পোর্টস ডেস্ক

দেশজুড়ে আজ পবিত্র ঈদ উল আযহার আনন্দ। কোরবানির ঈদের উৎসব শহরের অলিগলি আর গ্রামের উঠানে, প্রিয়জনদের মুখে হাসি! কিন্তু জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের মুখে সেই পরিচিত ঈদের ছুটির প্রশান্তি নেই। কারণ সামনে তাদের এক মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াই-এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১০ জুনের ম্যাচ।

ঈদের দিন যেখানে সবাই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, সেখানে জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী এবং তাদের সতীর্থরা ঈদের নামাজ পড়ে আবার মাঠে ফিরছেন অনুশীলনে। লক্ষ্য একটাই-দলকে জেতানো, আর জাতিকে দেওয়া এক গর্বের ঈদ উপহার।
বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আত্মবিশ্বাসী। তিনি স্পষ্ট করেই বললেন, ‘অবশ্যই, আমরা সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিতে চাই।’

তার এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে আছে সাম্প্রতিক সাফল্য। বিশেষ করে ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে যা ফুটে উঠেছে। গোল এসেছে সেট পিস থেকে, আর তিন ম্যাচে বাংলাদেশ কোনো সেট পিস থেকে গোল হজম করেনি। কাবরেরার চোখে এটিই দলের উন্নতির বড় প্রমাণ।
তিনি বলেন, ‘ভুটানের বিপক্ষে আমরা সেট পিস থেকে গোল করেছি। আর গত তিন ম্যাচে আমরা সেট পিস থেকে কোনো গোল খাইনি। এটা ইতিবাচক। শেষ ম্যাচে তো ক্লিন শিটও হয়েছে।’

জামাল ভূঁইয়ার পারফরম্যান্স নিয়েও সন্তুষ্ট কোচ। তার নেওয়া কর্নার থেকেই এসেছে প্রথম গোলটি। তবে কাবরেরার মতে, এটা জামালের নিয়মিত দৃশ্য, ‘এটা নতুন কিছু নয়। তিন বছর ধরে জামাল এভাবে খেলছে।’

তবে গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর জায়গায় এখনো উন্নতির দরকার দেখছেন কাবরেরা। ভুটান ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেলেও গোল এসেছে মাত্র দুটি, ‘আমরা দুটি গোল করেছি, আমি খুশি। তবে ফিনিশিং আরও উন্নত করতে হবে।’

ঈদের দিনে টিম হোটেল থেকে সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরে নামাজে গিয়েছিল পুরো দল। ভিডিওতে দেখা গেছে, ভক্তরা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের এক নজর দেখার জন্য। নামাজ শেষে আরও বাড়ে সেই ভিড়, সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। ঈদের দিনে এই দৃশ্য যেন বলে দেয়—এই দল শুধু একাদশ নয়, তারা দেশের স্বপ্নও বয়ে বেড়াচ্ছে।

ভুটানের বিপক্ষে জয় বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে ১০ জুন। সেদিনই জানা যাবে, কাবরেরাদের কঠোর পরিশ্রম কতটা কাজে লাগলো!


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *