
বেনাপোল (যশোর) করেসপন্ডেন্ট
যশোরের বেনাপোল সীমান্তের রঘুনাথপুর মাঠ থেকে স্বামী,স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা তবে পুলিশ বলছে ময়ন্ত তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃতুর কারন জানা হবে।
এদিকে এনিয়ে গত ৬ দিনে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে ৫ টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। স্বামীর মরদেহ বাড়ির পাশে একটি আমড়া গাছে গলায় গামছায় ফাঁস দেওয়া ছিল আর স্ত্রীর মরদেহ মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়। স্ত্রীকে হত্যার আগে শারিরীক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ হত্যার আগে ধর্ষণ করা হতে পারে।
এদিকে স্বামী,স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম চলতে দেখা যায়। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার রহস্য ও অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্বজনেরা।
জানা যায়, ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম বেনাপোলে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর। এ গ্রামে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করেন মনুরুজ্জামান ও তার স্ত্রী রেহেনা বেগম। মেয়ের বিয়ে হয়েছে কিছুদিন আগে আর ছেলে দিনমজুরের কাজ করে।
নিহত মনিরুজ্জামানের বোন ফতেমা জানান, তার সন্তান সম্ভবনা ভাইজিকে দেখতে গতকাল ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। রাতে ভাই,ভাবি ঘরের মেঝেতে আর তিনি খাটে ঘুমান। সকালে উঠে দেখেন তারা ঘরে নেই। পরে বাইরে বের হয়ে দেখেন বাড়ির পিছনে একটি গাছে তার ভাইয়ের মরদেহ ঝুলছে। কিছুক্ষন পরে জানতে পারেন মাঠে তার ভাবির মরদেহ পাওয়া আছে। অভিযোগ রাতে এমন কোন থরনের পারিবারিক অশান্তি হয়নি যে এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ স্বামী,স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন। দ্রুত হত্যার রহস্য উৎঘাটনের দাবি পরিবারের।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক রাশেদুজ্জামান জানান,মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট না আসলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলা কঠিন। তবে ঐ নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।।