
নিউজ ডেস্ক
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়েছে। ১৪ জুন দিনগত রাত ১২ টা থেকে ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর কথা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সদস্য উৎপাদন মো. জহুরুল ইসলাম।
চুক্তি অনুযায়ী বর্ষা মৌসুমে ৬ মাস ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপাল বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করছে। গত বছরের ১৫ নভেম্বর চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতীকী প্রচেষ্টা হিসেবে একদিনের জন্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করেছিল নেপাল।
কয়েক বছর ধরেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আলোচনা চলে। সেখানে বিপুল পরিমাণ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালে ১১ জুন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়। পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তিতে বিদ্যুতের মূল্য ধরা হচ্ছে প্রতি ইউনিট ৬.৪ সেন্ট।
নেপাল ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মধ্যে একটি অদ্ভুদ মিল রয়েছে। যা দুই দেশকেই বিশেষভাবে লাভবান করতে পারে। নেপাল মূলত জলবিদ্যুৎ নির্ভর একটি দেশ। তাদের বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। নেপালে চরম ঠাণ্ডার কারণে বেড়ে যায় বিদ্যুতের চাহিদা কিন্তু সে সময়ে নদ-নদীতে পানি কমে যাওয়ায় উৎপাদন কমে যায়। এতে করে ঘাটতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি।
অন্যদিকে বাংলাদেশে শীতের সময় চাহিদা কমে উদ্বৃত্ত থেকে চায় বিপুল পরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতা। সে কারণে নেপাল শীতে বাংলাদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে আগ্রহী। এতে করে উভয় দেশ লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেহেতু ভারতের ভূমি ব্যবহার করতে হবে তাই ভারতে সম্মতির ওপর নির্ভর করছে বিষয়টি। কয়েক বছর ধরেই বিষয়টি আলোচনা চলছে।
তারই অংশ হিসেবে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে। যেখান থেকে ভারত ও নেপাল উভয়ের কাছেই বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ থাকবে। তবে এখানে অনেক যদি কিন্তু রয়েছে। ভারতের আন্তরিকতা ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা কঠিন। কারণ ভারত ত্রি-পক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে আপত্তি করে আসছে। তারা চাইছে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি।