ফের ইসরায়েলে ইরানের আক্রমণ, উত্তপ্ত তেহরান-তেলআবিব

Spread the love

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এর মধ্যে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা ধ্বংসাবশেষ সরাসরি জেরুজালেম এবং বৃহত্তর তেলআবিব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে।

ইরানের হামলায় ইসরায়েলে একটি পার্কিং লটে আগুন ধরে যায়। এতে ২০টি গাড়ি পুড়ে গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলও তেহরানে পাল্টা হামলার ঘোষণা দিয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইরানের নতুন আরেক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেলআবিবসহ গোটা ইসরায়েলে সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। বুধবার সকালের দিকে ইসরায়েলি আকাশে ক্ষেপণাস্ত্রের ধারা স্পষ্ট দেখা গেছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কিছু ধ্বংসাবশেষ কিংবা সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে জেরুজালেম এবং বৃহত্তর তেলআবিব অঞ্চলে। এই হামলা ছিল গত ২৪ ঘণ্টায় ইরানের অষ্টম তরঙ্গের হামলা।

ইসরায়েল জানিয়েছে, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোম সিস্টেমে প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে গোপনীয়তার কারণে সব আঘাতের তথ্য প্রকাশ করছে না ইসরায়েল। মূলত ইসরায়েলে যুদ্ধকালীন সেন্সরশিপ থাকায় সব জায়গায় কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে যদি সেনাঘাঁটি বা সেনা স্থাপনায় হামলা হয়ে থাকে, তাহলে তার তথ্য প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।

অন্যদিকে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি পার্কিং লটে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা এর ধ্বংসাবশেষ পড়ে আগুন ধরে যায়। স্থানীয় চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, এতে ২০টি গাড়ি পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়েছে। সর্বশেষ হামলায় দুটি আলাদা আলাদা ক্ষেপণাস্ত্র তরঙ্গ লক্ষ্য করা গেছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিছু সময় আগে আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় ঝুঁকি আপাতত কমেছে।

তবে এক বা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা তেহরান অঞ্চলে নতুন হামলা শুরু করেছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের ‘ডিস্ট্রিক্ট ১৮’ নামের একটি শিল্পাঞ্চল – যা মেহরাবাদ বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত – সেই এলাকা খালি করে দিতে বলেছে।সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জানান, “আগামী কিছু সময়ের মধ্যে ওই এলাকায় সেনা অভিযান চালানো হবে, ইরানি সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে।”

এই বাধ্যতামূলক সরিয়ে দেওয়ার কৌশল ইসরায়েল গাজা ও লেবাননেও ব্যবহার করেছে।

ইরানি সংবাদমাধ্যম ও রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরান ও পাশের শহর কারাজে বড় ধরনের বিস্ফোরণ শোনা গেছে। তবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, এটি ইসরায়েলের আঘাত নাকি অন্য কিছু।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *