
বগুড়া করেসপন্ডেন্ট।
বগুড়ায় ঘরে ঢুকে দুই নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বন্যা নামের এক আরও এক নারী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে বগুড়া পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে নিহত ও আহতদের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন-পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। দুজন সম্পর্কে দাদি শাশুড়ি ও নাতি বউ।
ভুক্তভোগীদের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যায় বন্যা তার ভাবি হাবিবা ও দাদি লাইলীর বাড়িতেই ছিলেন। দুর্বৃত্তের হামলা পর চিৎকারে স্বজনেরা ছুটে এসে বন্যা, লাইলী ও হাবিবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখে।
এ সময় তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর গুরুতর আহত অবস্থায় বন্যাকে সার্জারি বিভাগে নেওয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
বন্যার চাচা আব্দুস সালাম বলেন, একটা ছেলের সঙ্গে বন্যার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্র ধরে বন্যাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবার থেকে এই বিয়েতে আমরা কেউ রাজি ছিলাম না। এই ঘটনার জেরে হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ি এসআই গাজিউল হক আহতের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সৈকত নামে একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল বন্যা। সেখানে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে বন্যাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
তাকে বাঁচাতে এলে প্রথমে হাবিবা ও পরে তাদের দাদি লাইলীকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলে তারা মারা যান। আহত বন্যার শরীরের তিনটি স্থানে ছুরির আঘাতের চিহ্ন আছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আসামি ধরতে অভিযান শুরু করেছি। তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।