
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম।
সারা দেশে ঘোষিত জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রাম নগরীতে পদযাত্রা করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিকেল সাড়ে তিনটায় বহদ্দারহাট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মুরাদপুর ও দুই নম্বর গেট হয়ে শেষ হবে বিপ্লব উদ্যানে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে মূল সমাবেশ।
রোববার (২০ জুলাই) বিকেলে বিপ্লব উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এনসিপির চট্টগ্রাম জেলা সংগঠক মো. রাফসান জনতারকথাকে বলেন, বিকেলে বহদ্দারহাটে সমবেত হবেন নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানিয়ে সেখান থেকেই শুরু হবে পদযাত্রা।
চট্টগ্রাম মহানগর তত্ত্বাবধায়ক জোবাইরুল আরিফ জানান, পদযাত্রার রোডম্যাপ অনুযায়ী বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বহদ্দারহাট থেকে যাত্রা শুরু হয়ে মুরাদপুর হয়ে বিপ্লব উদ্যানে পৌঁছাবে নেতাকর্মীরা। নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, নিউমার্কেট, আন্দরকিল্লা, টাইগার পাস, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড, খুলশী, পাঁচলাইশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এনসিপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেবেন।
দলটির চট্টগ্রাম মিডিয়া উইংয়ের প্রতিনিধি আরফাত আহমেদ রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা বর্তমানে হোটেল সৈকতে অবস্থান করছেন। সেখানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তারা। এ কার্যক্রম শেষে সকাল ১১টার দিকে রাঙামাটির উদ্দেশে রওনা হবেন। রাঙামাটিতে কর্মসূচি শেষে বিকেলে ফিরে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সমাবেশে যোগ দেবেন তারা।
সমাবেশে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের।
এর আগে, শনিবার (১৯ জুলাই) কক্সবাজার, চকরিয়া ও বান্দরবানে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে এনসিপি। শুক্রবার রাতেই কক্সবাজার পৌঁছান কেন্দ্রীয় নেতারা। শনিবার সকালে কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে শহীদ দৌলত ময়দানে সমাবেশ হয়। এরপর চকরিয়া ও বান্দরবানে কর্মসূচি শেষে রাতে চট্টগ্রামে ফেরেন তারা।
এদিকে কর্মসূচিকে ঘিরে চট্টগ্রাম শহরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা বার্তা২৪.কমকে জানান, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিএনপি ও ছাত্রদলের হামলায় এনসিপির মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনার কারণে নগরীতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।