সিরিয়ার সুয়েইদায় সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৯৪

Spread the love

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ সুয়েইদায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাহিনী এবং দ্রুজ যোদ্ধাদের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৯৪০ জনে পৌঁছেছে। স্কাই নিউজের খবরে অ্যারাবিয়া মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে নিহতের সংখ্যা ৭১৮ জন বলে জানানো হয়েছিল।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে ২৬২ জন স্থানীয় আরব বেদুইন রয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া, দ্রুজ গোষ্ঠীগুলো ৩২৬ জন সদস্য হারিয়েছে এবং সরকারি বাহিনীর ৩১২ জন সেনা নিহত হয়েছে। সরকারপন্থী আরব উপজাতিদের আধাসামরিক ইউনিট ২১ জন যোদ্ধা হারিয়েছে এবং ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৯ জন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মুখে গতকাল শনিবার সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সুওয়াইদা প্রদেশে মিলিশিয়া ও দ্রুজ প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় প্রণীত ‘পুনর্মিলন পরিকল্পনা’ অনুযায়ী এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

সুয়েইদা শহরের নিকটবর্তী এক গ্রামের বাসিন্দা মনসুর নামুর জানিয়েছেন, শনিবার বিকালেও তার বাড়ির কাছে মর্টারের গোলা এসে পড়ছিল, এসব গোলায় গ্রামটির অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। সুয়েইদার এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে চলা সহিংসতায় নিহতদের মৃতদেহ ও আহতদের দিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতাল ভরে গেছে।

হাসপাতালটির পরিচালক ওমর ওবেইদ বলেছেন, “আহতদের সবাই মর্টার বোমায় আহত হয়েছেন। কিছু মানুষের বুকে আঘাত লেগেছে, অনেকের হাতে পায়ে জখম হয়েছে।”

১৩ জুলাই দক্ষিণ সিরিয়ায় আরব উপজাতি মিলিশিয়া এবং দ্রুজ মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে উত্তেজনা তীব্র হয়। ১৫ জুলাই সিরিয়ার বাহিনী শহরে প্রবেশ করে অভিযান শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরেই ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা দ্রুজ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। ১৬ জুলাই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী দামেস্কের কিছু কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।

দ্রুজরা মূলত একটি আরবিভাষী জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠী, যারা সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল এবং জর্ডানে বসবাস করে। সিরিয়ায় প্রায় ৭ লাখ দ্রুজ রয়েছে, যা কুর্দি এবং আলাউইতের পরে তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *