
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, জনতারকথা, ফেনী।
ফেনীতে জুলাই গণ অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এসময় রাজধানীর উত্তরায় বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন তারা। এসময় তারা বিচার না হওয়াসহ শহিদ পরিবারের সাথে নানা বিষয়ে আলাপ করেন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাতে ঢাকা যাওয়ার পথে ফেনীতে নামেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। এ সময় অভ্যুত্থান শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শহিদ পরিবারের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। এর আগে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ফেনীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপির) পদযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেন, উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সবাই শোকে স্তব্ধ। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা খাগড়াছড়িতে পদযাত্রা শেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তাদের মধ্যে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটওয়ারী ফেনীতে এসে দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়েছেন। মুখ্য শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
আহতদের সাথে আলাপকালে সারজিস আলম বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন তাদেরকে শাস্তির আওতায় না আসা পর্যন্ত ড.ইউনূস রাষ্ট্রক্ষমতা ছাড়তে পারবে না। তিনি যদি বিচার না করে ছাড়ে তাহলে জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। রাজনীতি বাদ দিয়ে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আমরাও করব না। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কিছু মানুষ এটিকে রাজনীতি দিয়ে টানা শুরু করে। বিচার হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন দলে যাওয়ার দরকার নেই। বিচার দাবি করবেন।
তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করা হয় আবার তদবিরের মাধ্যমে তাদের জামিন ও দেয়া হয়। এটার সাথে কোর্টের বিচারক, আইনজীবী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবাই জড়িত।সবাই ধান্দাবাজ।
উল্লেখ্য, পহেলা জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ফেনী জেলায় তাদের পদযাত্রা করার কথা ছিল।