
কুষ্টিয়া অফিস।
কুষ্টিয়ায় র্যাবের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ আগস্ট রাতের গভীরে র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার হাউখালী গ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, পিপিএম-এর নেতৃত্বে র্যাব সদস্যদের একটি বিশেষ দল রাত প্রায় ১টার দিকে হাউখালী মোড় থেকে আনুমানিক ৫০ মিটার পশ্চিমে, ভেড়ামারা থেকে আল্লাহরদর্গাগামী পাঁকা রাস্তার ডান পাশে অবস্থিত ঝোপের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে সেখান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়।
অস্ত্রটি উদ্ধার করার পর ঘটনাস্থল ঘিরে তল্লাশি চালানো হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। র্যাব কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, অস্ত্রটি কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ওই স্থানে রাখা হয়েছিল বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই পালিয়ে যাওয়ার সময় ফেলে গেছে অপরাধীরা।
র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার বলেন, “অবৈধ অস্ত্র, মাদক এবং জঙ্গি কার্যক্রম দমনে র্যাব সর্বদা তৎপর রয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধী চক্রকে ছাড় দেওয়া হবে না। উদ্ধার করা অস্ত্রটি আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ভেড়ামারা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “র্যাবের পক্ষ থেকে আমাদের অস্ত্রটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
স্থানীয় এলাকাবাসী র্যাবের এই ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তাঁরা মনে করছেন, নিয়মিত এই ধরনের তল্লাশি ও অভিযান চলমান থাকলে এলাকায় অস্ত্র ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকটাই হ্রাস পাবে।
উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাও মাঝে মধ্যেই অবৈধ অস্ত্রের নিরাপদ গন্তব্যে পরিণত হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়। এসব অস্ত্র ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে, যা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এমন প্রেক্ষাপটে র্যাবের এই অভিযানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করাকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
র্যাব-১২ জানায়, ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে তারা।