
শেখ মুজিবুর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা ‘বাকশাল’ কায়েম করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম।
রবিবার বিকেলে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বাকশালের সময়ে দেশে মানুষের কোনো বাকস্বাধীনতা ছিল না, সংবাদপত্রও ছিল পরাধীন। পরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। এজন্য জাতি তাকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে স্মরণ করে।”
তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সহায়তায় ২০০৮ সালে একটি কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। তার শাসনামলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট ছাড়াই ১৫৪ জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করে তার পিতার পথ অনুসরণ করে আবারও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের তথাকথিত নির্বাচনে ‘মামা-ভাগ্নে’র নাটকীয় ভোটগ্রহণের মাধ্যমে মাত্র সাত মাসের জন্য সরকার গঠিত হয়।
শহীদুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। বহু নেতাকর্মী চিরতরে পঙ্গু হয়েছেন। এ সকল অন্যায়ের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান শাহীন। অনুষ্ঠানে উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলন শেষে আমলা ইউনিয়ন বিএনপির নতুন দ্বিবার্ষিক কমিটি গঠন করা হয়। এতে তোফাজ্জেল হোসেন সভাপতি, মজিবার রহমান সিনিয়র সহ-সভাপতি, মাহফুজুর রহমান সুমন সাধারণ সম্পাদক এবং আহাদুল হক ও হাসানুর রহমান হাসান ও শাহীন আলম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।