কোরবানির মাধ্যমে যেভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়

Spread the love

নিউজ ডেস্ক

কোরবানি মুসলিম জাতির পিতা খ্যাত হজরত ইবরাহিম (আ.) এর সুন্নত। সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কোরবানি করা ওয়াজিব।

রাসুল (সা.) এর হাদিস ও আমলের মাধ্যমে তা প্রমাণিত। কোরবানির বিধান পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়। একইসঙ্গে প্রতিবেশির হক আদায়, আত্মীয়তার সম্পর্কন্নোয়ন, দরিদ্রের সহায়তা করা হয়। কোরবানির মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সামাজিক সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ে।

কোরবানির বিধান কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সম্প্রীতি ছড়িয়ে দেয় তুলে ধরা হলো—

১. কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত দু’টি অমূল্য নেয়ামত অর্থাৎ, জীবন ও জীবিকার জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করা হয়।

২. ইসলামের অন্যতম বড় নিদর্শন হচ্ছে কোরবানি, এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয় এবং রবের নির্দেশ প্রতিপালন করা হয়।

৩. কোরবানি ব্যক্তি, পরিবার ও দরিদ্রের প্রশস্ততা, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা, মেহমানের আতিথেয়তা, প্রতিবেশীর হক, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও গরীবদের জন্য সদকা হিসেবে বিবেচিত হয়।

৪. কোরবানির মাধ্যমে মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন লাভ করে।

৫. আল্লাহর প্রতি বান্দার ঈমানের সুস্পষ্ট প্রমাণ কোরবানি, এর মাধ্যমে মানুষ একমাত্র আপন রবের সন্তুষ্টিই কামনা করেন।

৬. কোরবানির মাধ্যমে মুমিন ধৈর্য ও সবরের শিক্ষা লাভ করে। কারণ, কোরবানি করার মাধ্যমে তাদের অন্তরে ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আ.)-এর ধৈর্য ও আত্মত্যাগের দৃশ্য ভেসে ওঠে। আল্লাহর আনুগত্যে পিতা ইবরাহীম স্বীয় সন্তানকে ও ইসমাঈল (আ.) নিজেকে উৎসর্গ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।

৭. কোরবানির গোশত দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণে মাধ্যমে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়। যা অন্যতম সদকাহ। এর মাধ্যমে সমাজের লোকদের মধ্যে সম্প্রীতি-সদ্ভাব ও পরস্পরের প্রতি দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত হয়।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *