
নরসিংদী করেসপন্ডেন্ট।
নরসিংদীতে রিজভী (৩৪) নামে এক ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুর্বৃত্তদের ফেলে রাখা ৬টি হাতবোমা, দা, ছোরা ও মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার (৩০ জুন) রাত ১১টায় শহরের পশ্চিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার ফাতেমাতুস জোহরা মহিলা মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নিহত রিজভী (৩০) শহরের বীরপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত রিজভী তার দাদার বাড়ি রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জের খলাপাড়া, আগানগর, বালুয়াকান্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেটের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন আসা যাওয়া করতেন, আবার রাতে শহরের বাসায় ফিরে আসতেন। তার এই ইন্টারনেট ব্যবসায় চোখে পড়ে ওই এলাকার খলাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ওরফে মেলেটারি সিরাজের ছেলে তৈয়বের।
সে বেশকয়েক দিন আগে এলাকা হতে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে রিজভীকে হুমকিও দেয়। এ থেকেই দুইজনের মধ্যে মনোমালন্য ও বিরোধের সৃষ্টি হয়। পরে সোমবার রাতে তৈয়ব রিজভীকে তার পূর্ব ব্রাহ্মন্দীর বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা তার লোকজন রিজভীকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
নিহত রিজভীর বাবা জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার ছেলে গ্রামের বাড়িতে অনেক বছর ধরে ইন্টারনেট ব্যবসা করত। ওই এলাকার মেলেটারি সিরাজের ছেলে তৈয়বের সঙ্গে তার ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এ নিয়ে তৈয়ব বেশ কয়েকবার আমার ছেলে ও আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে আমি কয়েকদিন আগে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ সুপার রায়পুরা থানাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তারা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানান, সন্ত্রাসী তৈয়ব ও তার পরিবারের ওপর পরিকল্পিত হামলা করতে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় আসে রিজভী ও তার দল। এসময় পাল্টা হামলার শিকার হয়ে নিহত হয় রিজভী। রিজভীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় প্রায় ৮টি মামলা রয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।