কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ বিবৃতিতে পহেলগাঁও হামলার নিন্দা

Spread the love

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

 

গুরুত্বপূর্ণ চার দেশের জোট কোয়াড এর সদস্য দেশসমূহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যুক্ত বিবৃতিতে গত ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশগুলো হচ্ছে-ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার খবর নিউজ১৮’র

বিবৃতিতে কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, ‘কোয়াড দ্ব্যর্থহীনভাবে সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা ও সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসের নিন্দা জানায় এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।’

‘আমরা ২২শে এপ্রিল (২০২৫) জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত ও পূর্ণ আরোগ্য কামনা করি। আমরা এই নিন্দনীয় কাজের অপরাধী, সংগঠক এবং অর্থায়নকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাই।’

‘আন্তর্জাতিক আইন ও প্রাসঙ্গিকভাবে ইউএনএসসিআর-এর অধীনে বাধ্যবাধকতা মেনে জাতিসংঘের সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানাই’ বিবৃতিতে বলা হয়।

মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে অনুষ্ঠিত কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নেন-ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া ও অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকে অবশ্যই শূন্য সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করতে হবে। ভুক্তভোগী এবং অপরাধীদের কখনই সমানভাবে বিবেচনা করা উচিত নয়।’

পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে ভারত কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ না করেই এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে রক্ষা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের এবং তারা সেই অধিকার প্রয়োগ করবে।’

কোয়াড পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে বিস্তৃত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। চলতি বছরের শেষের দিকে নয়াদিল্লিতে কোয়াডের বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কোয়াডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই বৈঠকে মিলিত হন।

ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সমন্বয়ে গঠিত কোয়াড একটি গুরুত্বপূর্ণ জোট হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা মূলত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার উপর জোর দেয়।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *