
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে জেলা বিএনপি কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কোর্ট স্টেশন সংলগ্ন জেলা বিএনপি কার্যালয়ের প্রবেশ পথের সামনে অবস্থান নেন কয়েকশ নেতাকর্মী। এ সময় বেশ কয়েকজনকে কাফনের কাপড় পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় শুয়ে থাকতে দেখা যায়। দুপুর ১টার দিকে তারা রাস্তা থেকে সরে যান।
সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদারের কর্মী সমর্থকরা কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তারা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকারকে ভোট কারচুপির জন্য দায়ী করেছেন।
তবে কুতুব উদ্দিন ও জাকির সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, গত শুক্রবার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ চত্বরে সম্মেলনের পর কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নেতা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয় এবং রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে রোববার শহরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন পরাজিত সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার।
আক্তারুজ্জামান কাজল মাজমাদারের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মেজবাউর রহমান পিন্টু, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম গোলাম কবিরসহ প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কাজল মাজমাদার বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, “ভোটের সারাদিন কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। ভোট গণনার সময়ও কোনো অভিযোগ ছিল না। ফলাফলের পরই তারা অভিযোগ করছেন। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে শতভাগ স্বচ্ছ একটি নির্বাচন করেছি। এখানে কারচুপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোট গ্রহণ, গণনা ও ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেষে ভোটে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু ও সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন। পরে কাজল মাজমাদার ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট পুনর্গণনার আহ্বান জানান। পুনর্গণনা শেষে কাজলের ভোট সংখ্যা বাড়লেও তিনি পরাজিত হন।