
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, জনতারকথা।
কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূলহোতা শাহ পরানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই এবং ওই ভুক্তভোগী নারীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী।
শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এই তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটানো হয়। শাহ পরান ধর্ষণ মামলার মূল আসামি ফজর আলীর ছোট ভাই এবং ওই ভুক্তভোগী নারীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনার মূলহোতা। ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন শাহ পরান। তার কাছে ধর্ষণের ঘটনায় ছবি ও ভিডিওসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে র্যাব আরও জানায়, দুই মাস আগে ফজর আলী ও তার ছোট ভাই শাহ পরানের বিরোধের জের ধরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গ্রাম্য সালিশে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চড় থাপ্পড়ও মারেন।
পরবর্তীতে শাহ পরান তার বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের সন্ধানে থাকে। সালিশের কিছু দিন পর ওই ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে ঋণ নেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পরে নারীর বাবা-মা মেলা দেখতে যান। এই সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে রাতে কৌশলে নারীর ঘরে ঢুকে পড়েন।
এদিকে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নারীর বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান ও আবুল কালাম, অনিক, আরিফ, সুমন, রমজান এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জন ব্যক্তি দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেই নারীকে শারীরিক নির্যাতন করেন। এ সময় অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। ঘটনার পর মূলহোতা শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান।