‘বিএনপির নামে অপকর্মকারীদের বেশিরভাগই ৫ আগস্টের পর দলে ঢুকেছে’

Spread the love

ময়মনসিংহ, করেসপন্ডেন্ট।

বিএনপির নামে যারা অপকর্মে জড়িত, তাদের বেশিরভাগই ৫ আগস্টের পর দলে যোগ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

শনিবার(১২ জুলাই) রাতে ময়মনসিংহ নগরীর দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকার আসপাড়া ট্রেনিং সেন্টারে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

হাবিব উন নবী খান বলেন, যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছে, তাদের কাউকেই ছাড় দিচ্ছে না বিএনপি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, আমরা বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে সাথেসাথে ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক ত্যাগী নেতারাও রয়েছে যারা ভুল করেছে কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদেরও ন্যূনতম সুযোগ দেননি।

রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ ঘটনায় ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যদি আরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন হয় সবই আমরা করবো। এ ব্যাপারে আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। দল এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এত শহীদের বিনিময়ে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, সেই বিজয় কারো অপকর্মের কারণে ম্লান হোক তা আমরা কখনই হতে দিবো না।

তিনি আরও বলেন, সামনের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপিকে হেয় করার নানা অপচেষ্টা চলছে। বিএনপিকে খাটো করার জন্য কেউ অপচেষ্টা করছে। একটা ঘটনা ঘটেছে এ নিয়ে সরব হতেই পারে। কিন্তু কেউ কেউ উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজপথে সক্রিয় হচ্ছে। সবই আমাদের নলেজে আছে। ঘটনাটি খুবই খারাপ হয়েছে, এনিয়ে সরব হলেও আমাদের কিছু করার নেই। অবশ্যই সরব হওয়া উচিত, এ ধরণের ঘটনা যেন আর না ঘটে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে দেওয়ার যে প্রচেষ্টায় আমরা আছি তাতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। কেউ কেউ ভাবছে, বিলম্বে ভোট হলে তাদের একটু সুবিধা পাওয়ার সুযোগ আছে। এরকম মানসিকতা নিয়ে নির্বাচনের পথে তারা নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে। আমাদের কথা স্পষ্ট, সংস্কার চলবে। যেগুলো জরুরি ইলেকশনের আগে সেগুলো করে দেশে একটি নির্বাচন দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, সংস্কার একদিন, দুদিনের ব্যাপার না। একটি দেশ চলে সংস্কারের উপর দিয়ে। যে সংস্কার এখন জনতার দাবি সে সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আগামীতে জনগণের যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে সে সরকার সংষ্কার গুলো এগিয়ে নিযে যাবে। আমাদের কাছে কেন জানি মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, কেউ কেউ সংস্কারের ধোয়া তুলে জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চাচ্ছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *