পানির খোঁজে যাওয়া ছয় শিশুকে হত্যা করল ইসরায়েল

Spread the love

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।

গাজার মধ্যাঞ্চলে পানি সংগ্রহ করতে অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলায় ৬ শিশুসহ অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় খাবার ও পানির তীব্র সংকটের মধ্যেই এ হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। রোববার (১৩ জুলাই) সংঘটিত এই হামলার ঘটনায় ‘প্রযুক্তিগত ভুল’ হওয়ার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে একটি পানি সরবরাহকেন্দ্রে। গাজার জরুরি পরিষেবা কর্মকর্তারা নিহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। হামলায় নিহতদের দেহ নুসেইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, আরও ১৬ জন আহতকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিগত কয়েক মাসে প্রায় ১০ বার পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাল ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি পানির ট্যাংকারের পাশে খালি কনটেইনার নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন অনেক ফিলিস্তিনি। সে সময় তাদের ওপর একটি ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইসলামিক জিহাদের এক ‘সন্ত্রাসী’কে হামলার নিশানা করতে গিয়েছিল, কিন্তু এই ভুলের কারণে ক্ষেপণাস্ত্র নিশানা থেকে কয়েক ডজন মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

গাজার চিকিৎসা সূত্র থেকে জানা গেছে, পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া ১০ জনসহ রোববার ইসরায়েলের হামলায় উপত্যকাটিতে ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। আর আগের দিন শনিবার নিহত হয়েছেন অন্তত ১১০ জন। এর মধ্যে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের আশায় গিয়ে হামলায় নিহত হন ৩৪ জন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা গাজার ওই এলাকায় হামলায় হতাহতের ঘটনা সম্পর্কে অবগত। তবে তারা দাবি করেছে যে ইসরায়েলি বাহিনী যতটা সম্ভব বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা কম রাখার জন্য কাজ করে এবং যুদ্ধে জড়িত না থাকা সাধারণ মানুষদের যেকোনো ক্ষয়ক্ষতিতে দুঃখিত।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের শুরু করা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং ভূখণ্ডটির প্রায় পুরো জনসংখ্যাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে খাবার, জ্বালানি, চিকিৎসাসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য জিনিসের তীব্র সংকট চলছে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *