
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।
নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত পরিস্থিতি। লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চালানো বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পাঁচ সদস্যও রয়েছেন । দীর্ঘদিন ধরেই চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ হামলাকে বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। মঙ্গলবার লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর পুনরায় শক্তি সঞ্চয় ঠেকাতে লেবাননের পূর্বাঞ্চলে মঙ্গলবার ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, বেকা উপত্যকা এলাকায় হিজবুল্লাহর অভিজাত যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শিবির এবং অস্ত্রাগার লক্ষ্য করেই তারা এই হামলা চালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত নভেম্বরে লেবানন-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির পর ওই অঞ্চলে মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই হামলা চালিয়েছে। বেকা অঞ্চলের গভর্নর বশির খোদর বলেছেন, নিহতদের মধ্যে সিরিয়ার সাতজন নাগরিক রয়েছেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে গত বছরের সংঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে হিজবুল্লাহ। যুদ্ধবিরতির আগে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত ও বিপুল অস্ত্র ধ্বংস হয়।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, হিজবুল্লাহকে একটি ‘স্পষ্ট বার্তা’ দেওয়ার উদ্দেশে মঙ্গলবার হামলা চালানো হয়েছে। হিজবুল্লাহর অভিজাত শাখা রাধওয়ান বাহিনীকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে ইসরায়েলে হামলার পরিকল্পনা করার অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, পুনর্গঠনের যেকোনও প্রচেষ্টার জবাবে ইসরায়েল সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে। এই হামলার মাধ্যমে লেবানন সরকারকেও একটি বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। কারণ যুদ্ধবিরতি রক্ষা করার দায়িত্ব তাদের।
হিজবুল্লাহ বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘লেবাননের বিরুদ্ধে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে ভয়াবহ উত্তেজনা বৃদ্ধি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হতাহতের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। লেবানন সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।