
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।
ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১০ জন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ হাজার ৬৬৭ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৪ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার (১৯ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা।
শুক্রবারের সর্বশেষ হামলায়, পূর্ব গাজা শহরের তুফাহ পাড়ায় ইসরায়েলি হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। উত্তর গাজার জাবালিয়া আন-নাজলায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এর আগে, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলিতে ইসরায়েলের হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে পাঁচজন মারা যায়। এছাড়াও ত্রাণ প্রত্যাশী ১০ জন ব্যক্তিরও ইসরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়
২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।
কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৪৩ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২৭ হাজার ৯৯৩ জন।
যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায় বলে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।