
আক্তারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে বজ্রপাতে দুই কৃষকের ১১টি মহিষ মারা গেছে। ৩ আগস্ট ভোররাতে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২৪ লাখ টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছেন নবির আলী ও এলাহি ঢালি নামের দুই কৃষক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের একটি বাথানে প্রায় ৩০০ মহিষ রয়েছে। সেখানকার নবির আলীর ১০টি এবং তাঁর ফুপাতো ভাই এলাহি ঢালির একটি মহিষ বজ্রপাতে মারা যায়। ঘটনার সময় মহিষগুলো খোলা আকাশের নিচে ছিল। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিটি মহিষের বাজারমূল্য প্রায় ২ থেকে ২.৫ লাখ টাকা।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, “আমার ইউনিয়নে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। নবির আলী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এলাহি ঢালি বলেন, “মাঠে থাকা অবস্থায় হঠাৎ বজ্রপাত হয়। আমাদের ১১টি মহিষ মারা যায়। পঁচে যাওয়ার আগেই নদীতে ভাসিয়ে দিতে হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি কিছু সহায়তা মিলত, অনেক উপকার হতো।”
দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহামুদুল ইসলাম ও ইউএনও আব্দুল হাই সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সহায়তা পাওয়ার সুযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন সরকারি সাহায্যের আশায় দিন গুনছেন।