
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।
ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান পাঠানো বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার হেগসেথ ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষা ও কংগ্রেস কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে এনবিসি নিউজ। নিজেদের সামরিক বাহিনীর মজুত দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র যাবে বলে জানা গেছে। অস্ত্রের মজুতে টান পড়ার শঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনকে সহায়তা, মধ্যপ্রাচ্যে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার এবং ইসরায়েলকে দেওয়া চালানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রের মজুত কমেছে। চার কর্মকর্তা সিবিএসকে জানান, অস্ত্রের মজুত পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্টদের কাছে শুরুতে একটি লিখিত বার্তা দেন হেগসেথ। পরে চালান পাঠানো স্থগিতের নির্দেশ দেন। মজুত সংক্রান্ত পর্যালোচনা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অস্ত্রের চালান বন্ধ রাখা হতে পারে।
এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি জানান, বিভিন্ন দেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহায়তা নিয়ে যে পর্যালোচনা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তার ভিত্তিতে চালান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিমত্তা প্রশ্নাতীত।
পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে গত ১৩ জুন ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। পরে উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে গত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতিতে যায় দুই দেশ।
ইসরায়েলের পর যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা করে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।’