
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো দুই ব্যক্তির শরীরে জিকা ভাইরাসের জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী।
সোমবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরের বেসরকারি একটি ল্যাবে পরীক্ষায় তাদের দেহে জিকা ভাইরাসের প্রাথমিক অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার তবে এ বিষয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিডিসি (রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র) এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠা (আইইডিসিআর) চূড়ান্ত ঘোষণা দেবেন বলে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জিকা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া দুজনের বয়স চল্লিশ বছরের বেশি। নমুনা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। কারণ, কোনো অপ্রচলিত বা বিরল রোগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ঘোষণা আইইডিসিআর দিয়ে থাকে।
তিনি জানান, আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, শরীর ব্যথা এবং শরীর লালচে হওয়া এই উপসর্গ দেখা গেছে। আক্রান্ত নারী জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন।
২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে এবারই প্রথম চট্টগ্রামে এই রোগ শনাক্ত হলো। জনসাধারণকে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।থেকে তাদের চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে একটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে তাদের জিকা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিডিসি এবং আইইডিসিআর নমুনা সংগ্রহ করেছে। তাদের আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে বলা যাবে ওই দুজন জিকা ভাইরাস আক্রান্ত কি-না।
তিনি জানান, আক্রান্ত পুরুষের জ্বর, শরীর ব্যথা এবং শরীর লালচে হওয়া এই উপসর্গ দেখা গেছে। আক্রান্ত নারী জ্বর, হাত-পা ব্যথা ও ফুলে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বাংলাদেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে এবারই প্রথম চট্টগ্রামে এই রোগ শনাক্ত হলো। জনসাধারণকে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।