রাঙামাটির শিক্ষা প্রকৌশল অফিসে রাত পর্যন্ত চললো দুদকের অভিযান

Spread the love

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম।

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণে প্রায় ২১ কোটি টাকার টেন্ডার কাজে অনিয়মের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত টানা অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল নির্মাণের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের শুরুতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, রাঙামাটি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের দুইজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন ভবনসমূহ পরিদর্শন করা হয়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ে টেন্ডার সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনায় একাধিক অসংগতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন, অভিযান পরিচালনাকারি টিমের অন্যতম সদস্য আহাম্মেদ ফরহাদ হোসেন।

অপরদিকে, সংশ্লিষ্ট্য ভূক্তভোগির লিখিত অভিযোগ এবং পরবর্তীতে “রাঙামাটির শিক্ষা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ২১ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ দুদকে” এই শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহিদ কালাম।

গত ২৯/০৪/২০২৫ ইং তারিখে দুদকে প্রদত্ত অভিযোগপত্রে, মো: আলী ইমাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ইইডি, চট্টগ্রাম সার্কেল (চেয়ারপারসন) ও জনাব বিজক চাকমা, নির্বাহী প্রকৌশলী, ইইডি, রাঙামাটি (মেম্বার সেক্রেটারী) জেলাদ্বয় যোগসাজশ করে নিয়মবহির্ভূত ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজ প্রীতি এন্টারপ্রাইজের নামে চলমান দেখিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে টেন্ডার আইডি নং- ১০৫৩৮৮৭ ও ১০৫৩৮৮৮ হতে আমার প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে নন রেসপন্সিভ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে, অভিযান পরিচালনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে চাইলে অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহম্মেদ ফরহাদ হোসেন প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, রাঙামাটির রাবিপ্রবি’তে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ৪টি প্রজেক্টের অনিয়ম নিয়ে দুদকের অভিযোগ দেয়। তারই প্রেক্ষিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করেছি।

তিনি জানান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন হতে যাওয়া দুইটি ছাত্রাবাস নির্মাণকারি ঠিকাদার কাসেম কনষ্ট্রাকশন ও শুভ্রাংকর চৌধুরীর জয়েন্টভেঞ্চার দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক টেন্ডারে সাবমিট করা ঠিকাদারির অভিজ্ঞতা সনদ জাল ও অন্যদের বিষয়ে টেষ্ট রিপোর্টগুলো ভূয়া! অভিযানকালীন সময়ে যাচাই করে এমন অভিযোগগুলোর প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছি। এই বিষয়ে খুব শীঘ্রই দুদক কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *