
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।
বুধবার (১৬ জুলাই) সিলেট বিভাগের চার সীমান্ত দিয়ে ৫৫ জনকে ঠেলে দিয়েছে (পুশইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে। এ নিয়ে গত ৪ মে থেকে বুধবার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত দুই হাজার চারজনকে ঠেলে পাঠালো বিএসএফ।
৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, গতকাল ঠেলে পাঠানোদের মধ্যে ৩৩ নারী ও ১০ শিশু রয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইরাগ সীমান্ত দিয়ে সাতটি পরিবারের ১৯ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৭ জন নড়াইল এবং একজন করে কুষ্টিয়া ও খুলনার বাসিন্দা। জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর সীমান্তের মোকামপুঞ্জি দিয়ে ৯টি পরিবারের ১৩ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে রয়েছে আট নারী ও তিন শিশু– পাঁচজন যশোর, একজন করে হবিগঞ্জ, নরসিংদী, সিলেট ও সাতক্ষীরার এবং দুইজন করে নড়াইল ও বরিশালের বাসিন্দা। গোয়াইনঘাটের তামাবিল সীমান্তের নলজুরি দিয়ে একটি পরিবারের দুইজনকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের বাড়ি যশোর। এ ছাড়া সুনামগঞ্জের ছাতকের নোয়াকোট সীমান্তের ছনবাড়ী দিয়ে আটটি পরিবারের ২১ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ১৫ নারী ও দুই শিশু রয়েছে। তাদের পাঁচজন যশোর, চারজন নড়াইল, তিনজন সিলেট ও ৯ জন সাতক্ষীরার বাসিন্দা।
এদিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ভারত থেকে পুশইনকৃতদের সংখ্যা ইতিমধ্যে দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভারতীয় কাউকে পুশইন করা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ভারতের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ভারত থেকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার নমনীয় নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, কেউ একজন আইন ভঙ্গ করছে বলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলার অধিকার কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নেই। এটি বেআইনি এবং আমরা তাদের বিচারও দাবি করেছি। যারা এ কাজ করেছে, তাদের যেন ভারতীয় আইনে বিচার করা হয়।