
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা।
থাই এয়ার থেকে এমন কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়নি যে ফিরতি টিকেট কেনা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও বাংলাদেশিদের জন্য হোটেল বুকিংয়ে পেইড চিহ্নিত বা ঢাকার রয়েল থাই এম্বাসির কনস্যুলার সেকশন থেকে যাচাই করার কোনো প্রয়োজন নেই। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত ১০ দিনে থাইল্যান্ড ভ্রমণ নিয়ে দুটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমটি হচ্ছে, থাই এয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট বহনকারীদের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো ভ্রমণে একই এয়ারলাইন্সে এবং একই পিএনআর নাম্বারের রিটার্ন টিকেট প্রয়োজন। এই ধরণের একটি ভুল তথ্য সম্বলিত ফটোকার্ড সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশিদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভুল তথ্যটি ছড়িয়ে পড়লে ভ্রমণকারীরা অনেকেই তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ব্যবহারকারী অনেকেই তাদের ভ্রমণ নিয়ে দুঃচিন্তায় পড়েন। তবে থাই এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটের বিজ্ঞপ্তি বিভাগ বা ফেসবুক পেজে এমন ধরণের কোনো ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি।
থাইল্যান্ডের ট্রাভেল এজেন্সি আকেরিও ট্যুরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জোবায়ের আহমেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কোনো এয়ারলাইন এজেন্সি এইধরণের ভ্রমণের কোনো নিয়ম দিতে পারে না। কোনো দেশে ভ্রমণের কানুনগুলো সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারে থাকে। আমাদের ট্রাভেল গ্রুপগুলোতে এধরণের একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আমরা দ্রুত সেই ভুয়া সংবাদটিকে অপসারণ করি।
সপ্তাহ না ঘুরতেই নতুন একটি গুজব ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। হোটেল বুকিং করে সেটি ঢাকায় রয়েল থাই এম্বাসি থেকে যাচাই করে নিতে হবে এবং সেটি না করা হলে ভিসা প্রদান করা হবে না!
মুহুর্তেই আবারো ছড়িয়ে পড়ে এই ভুয়া সংবাদটি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্যুর অপারেটর এবং ভ্রমণকারীরা। তবে এবার এই গুজব বন্ধ করতে এগিয়ে আসে ঢাকার থাই এম্বাসি। তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, দূতাবাস থেকে এমন কোনো নিয়ম করা হয়নি।
ভ্রমণকারীদের থাইল্যান্ডে ভ্রমণের পূর্বে হোটেল বুকিং করে যেতে অনুরোধ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে সেটি দূতাবাস থেকে যাচাইয়ের কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয়নি তারা। এছাড়াও হোটেল বুকিংয়ে পেইড বা গ্যারান্টেড লিখিত থাকার কোনো ঘোষণাও দেয়নি দূতাবাস।