
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
আজ থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এবার চট্টগ্রামে ২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন এক লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের এইচএসসি পরীক্ষা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৭১ হাজার ৫২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩১ হাজার ৮৩৯ জন এবং ছাত্রী ৩৯ হাজার ৬৮৪ জন। শুধু মহানগরে পরীক্ষার্থী ৩৫ হাজার ৫৮৪ জন।
অন্যদিকে, কক্সবাজারে পরীক্ষার্থী ১২ হাজার ৫ জন (ছাত্র ৪ হাজার ৭২২, ছাত্রী ৭ হাজার ২৮৪), রাঙামাটিতে ৫ হাজার ৫৫৪ জন (ছাত্র ২ হাজার ৪১৬, ছাত্রী ৩ হাজার ১৩৮), খাগড়াছড়িতে ৭ হাজার ৮২ জন (ছাত্র ৩ হাজার ৩০৬, ছাত্রী ৩ হাজার ৭৭৬) এবং বান্দরবানে ৩ হাজার ৮৭১ জন পরীক্ষার্থী (ছাত্র ১ হাজার ৮৫৬, ছাত্রী ২ হাজার ১৫) অংশ নিচ্ছেন।
সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখের বেশি। ১১৫টি কেন্দ্রে এসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন।
সকালে নগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন্দ্রে পৌঁছে যান। ইউনিফর্ম পরিহিত শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল প্রবেশপত্র, কলম ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। কেন্দ্রে প্রবেশপথে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কক্ষ পরিদর্শক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান ছিল লক্ষণীয়।
পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, লাগানো হয়েছে নকলবিরোধী পোস্টার এবং ঘড়ি রাখা হয়েছে অ্যানালগ। জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
বোর্ড জানিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে। ওএমআর শিটে নির্ভুলভাবে তথ্য পূরণ ও বৃত্ত রঙ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল অংশের মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না এবং উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নয়, স্থানান্তরিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।
তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি (MCQ) ও ব্যবহারিক- তিন অংশেই আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষায় উপস্থিতির স্বাক্ষর দেওয়াও বাধ্যতামূলক।