
দৌলতপুর, (কুষ্টিয়া) করেসপন্ডেন্ট ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই বহুল প্রত্যাশিত কাউন্সিল নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে।
দীর্ঘদিন পর এই কাউন্সিলের মাধ্যমে দৌলতপুরের বিএনপি নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন। সাধারণ জনগণ ও দলের সমর্থক মহলে ব্যাপক আগ্রহ ও প্রত্যাশা দেখা দিয়েছে এই সম্মেলনকে ঘিরে। এলাকার জনগণ মনে করছেন, এই সম্মেলনের মাধ্যমে ভোটারদের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক চর্চা নতুন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বাজার এলাকায় ইতোমধ্যে প্রার্থীদের ব্যাপক জনসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল ও ত্যাগী নেতারা এবার দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একাধিক প্রার্থী। তবে এখন পর্যন্ত জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতিবিদ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা মোঃ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা।
সেক্রেটারি পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও তিনজন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন মই মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। তিনি দলের প্রতি নিবেদিত এবং সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে জানান স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
অন্যদিকে, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন অর্জন করেছেন কাপ পিরিচ প্রতীকধারী মোহাম্মদ রাশেদ আহমেদ (লালু)।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, ধারাবাহিক জনসংযোগ এবং কর্মীসভায় সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
তাঁর সমর্থকেরা বলছেন, রাশেদ আহমেদ লালু যুব সমাজের আইকন হয়ে উঠেছেন। তিনি বিজয়ী হলে এলাকার দরিদ্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করবেন এবং সংগঠনের প্রতি সবসময় নিষ্ঠাবান থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
আগামীকালকের এই সম্মেলনের মাধ্যমে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে। স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে এই সম্মেলন ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে – এমনটাই প্রত্যাশা করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় কর্মীরা।